শাহজাদপুরের ভৌগলিক অবস্থান, নদী-নালা, মাঠ-প্রান্তর এবং মানুষের বিচিত্র জীবন প্রবাহ নানা আবর্তে পরিচালিত। শাহজাদপুরের তাঁতশিল্প ও দুগ্ধশিল্পকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গড়ে উঠেছে। শাহজাদপুরে তাঁত শিল্পের ব্যপক প্রসারের বিষয়টি সারা বংলাদেশে পরিচিত। সরকারী হিসাব অনুযায়ী এখানকার তাঁতের সংখ্যা ৪৫০৮৫। এখানকার তাঁতশিল্পের উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে শারি ও লুঙ্গির দেশে ব্যপক সুনাম রয়েছে।
এখানকার দ্বিতীয় প্রধান শিল্প হচ্ছে দুগ্ধশিল্প। বাংলাদেশের বৃহত্তম দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা’র সবচেয়ে বড় কারখানাটি শাহজাদপুরে অবস্থিত। এই কারখানায় দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াও দুগ্ধজাত ঘি, মাখন, আইসক্রিমসহ নানা পণ্যের উৎপাদন হচ্ছে। মিল্কভিটার প্রায় শতকরা আশি ভাগ দুধ শাহজাদপুরে বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের দুগ্ধ খামার থেকে সরবরাহ করা হয়। এই দুগ্ধ খামারের সংখ্যা প্রায় ৮৪৬৮টি। এসব খামারে উন্নত জাতের গাভী পালন করা হয় এবং এর কোনো কোনো গাভী থেকে দিনে প্রায ৩০ লিটার দুধ পাওয়া যায়।
শাহজাদপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হলো বাঘাবাড়িতে স্থাপিত দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ৭১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও ওয়েস্ট মোন্ট পাওয়ার প্লান্ট (১০০ মেগাওয়াট)। এ দুটোই বাঘাবাড়ি বড়াল নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থিত। দুটি প্লান্ট থেকে গড়ে ১৭১ মেগা্ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে থাকে। আরও ১০০ মেগা্ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলার যে কারণে গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে তার মধ্যে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে প্রতিষ্ঠিত পেট্রোলিয়াম ডিপো অন্যতম। এই ডিপোতে রয়েছে পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম কম্পানির সরবরাহ। উত্তরবঙ্গের জালানী তেলের প্রায় সমস্তটাই এখান থেকে সরবরাহ করা হয়। মোটের ওপর, শিল্প কারখানার দিক থেকেও উপজেলা হিসাবে শাহজাদপুর বেশ অগ্রবর্তী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস