শাহজাদপুর বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহীউপজেলা। বৃটিশ শাসনামলে এই উপজেলায় একটি মুনসেফ কোর্ট এবং একটি জেলখানাছিল। এটি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার একটি বিশেষ গুরুপ্তপূর্ণ উপজেলা। কথিতআছে যে, ১২৫০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে মধ্যপ্রচ্যের ইয়েমেনের শাহজাদাহযরত মখদুম শাহদৌলা (রহঃ) ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে তিন ভাগ্নে (১) খাজাকালীন দানিশমন্দ (২) খাজা নূর (৩) খাজা আনওয়ার, তাঁদের মাতা (মখদুম সাহেবেরভগ্নি), বার জন প্রশিদ্ধ দরবেশ এবং কিছু সংখ্যক সহচর নিয়ে নদী পথে জাহাজেরওনা দেন। তিনি তাঁর সহচরদের নিয়ে একসময় বর্তমান শাহজাদপুর ভূখণ্ডে এসেপৌঁছেন। তিনি এখানে ইসলাম প্রচার শুরু করলে স্থানীয় হিন্দু রাজার সাথে তাঁরযুদ্ধ বেঁধে যায় এবং তিনি সেই যুদ্ধে শহিদ হন। কিন্তু স্থানটি মুসলমানদেরদ্বারা বিজিত হয়। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সহচরদের প্রচেষ্টায় এখানে ইসলামধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয় (ড. এনামুল হক, পূর্ব পাকিস্তানের ইসলাম, পৃষ্ঠা-২৪০)।ইয়েমেনের সেই সাধক বীর শহিদ হযরত মখদুম শাহদৌলা (রহঃ) এর নাম অনুসারে এভূখণ্ডের নামকরণ হয়েছে।
শাহজাদপুরউপজেলার উত্তরে রয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলা ও বেলকুচি উপজেলা, দক্ষিণে পাবনাজেলার বেড়া উপজেলা, পূর্বে চৌহালী উপজেলা এবং পশ্চিমে পাবনা জেলার ফরিদপুরউপজেলা। শাহজাদপুর উপজেলা সদরের পশ্চিমে পঞ্চগড়-নগরবাড়ী বিশ্বরোড এবংপূর্বে প্রবাহিত হচ্ছে কল্যাণময়ী করতোয়া নদী। এর পূর্ব প্রান্তে রয়েছেবাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ প্রমত্তা যমুনা নদী। অবশ্য যমুনার ওপারেও (পূর্বে) এউপজেলার কিছু অংশ রয়েছে। এ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুরা সাগরসহ ছোট ছোট আরও কিছু নদী।
শাহ্জাদপুরউপজেলার ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে এর গুরুত্ব নানাভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।অর্থাৎ আধুনিক সড়ক, নৌ যোগাযোগ এবং অন্যান্য সুবিধার কারণে বহু আগে থেকেইএখানে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি স্থাপনা, তাঁত শিল্প এবং বস্ত্রবানিজ্য। সেইসাথে রয়েছে অপেক্ষাকৃত উন্নত শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস